সেই বিকেল, স্নিগ্ধতায় মোড়ানো পুরোনো স্মৃতিগুলো পড়ে আছে, কাঠের দোলনাটা দমকা বাতাসে কেপেঁ উঠছে।
তুমি আনমনে হেসে উঠলে;
আর পাশে বসে আমার রঙ চায়ে চুমুক দেয়া হয়নি।
একটা কুকুর ঘেউঘেউ করতেই তুমি ফিরে তাকালে, সবুজ ঘাসে তোমার দৃষ্টি আছড়েঁ পড়েছে,
আমি তখন পরকালের ভাবনা থেকে সরে এসে দেখেছি একটি মঞ্জুরিত শাখায় ফুটে ওঠা ভোরের শুভ্রতা।
তোমার পায়চারী করা প্রতিটি পদক্ষেপ আমি লক্ষ্য করে অবাক হই; এ রেখা গুলো মানুষের নয়, মানুষ তো এভাবে হাটেঁ না..!
বাড়ির সামনে লাল রঙের গেট এ দাঁড়িয়ে ছোট ছিদ্র দিয়ে পুরো শহরটাকে দেখে নিলে ; অপলক চাহনিতে দেখতে লাগলে ঘুড়ি ওড়ানো।
আমি লক্ষ্য করলাম, তুমি আর তুমি নেই ; প্রজাপতি হয়ে গেছো।তোমার পাখা ঝাপটানোয় ঝর বইছে, বিষন্ন রজনীগন্ধার চারাটা কেমন হেসে উঠেছে !
তুমি আর মানুষ নেই মানবী,
তুমি আর মানুষ নেই।
বসন্ত পেরিয়ে, চৈত্র পেরিয়ে এখন বরষা।
অথচ বাসন্তী রঙের শাড়ী টা কেমন অদ্ভুত মানিয়ে রেখেছে তোমার ছিপছিপে দেহটাকে।
তুমি পশ্চিমে হেলে যখন আকাশ দেখো, তখন পুবের আকাশে কালো মেঘ জমে যায়।
দুটি পায়ড়ার খুনসুটি তোমাকে স্থির করে রেখেছে। আধার চোখ রাঙাচ্ছে তোমাকে। তুমি কখনো জানো নি, হয়ত কোনো পুরুষ কখনো বলে নি, তুমি দিনের আলোয় যতটা সুন্দর;রাতের আধাঁরে তার থেকে হাজারগুণ বেশি অদ্ভুত !
লক্ষ্য করলাম তুমি মিশে যাচ্ছো, অসীম দিগন্তে মিশে যাচ্ছো তুমি।
এভাবে মানুষ মিশে যেতে পারে না, মানুষ তো এভাবে মিশে যায় না।
মনে হলো তুমি আর তুমি নেই,
তুমি তারা হয়ে গেছো,
এই গ্যালাক্সিকে আপন করে মহাশূণ্যে চলে যাচ্ছো নিজের ভূবনে।
তুমি আর মানুষ নেই তমালিকা!
তুমি আর মানুষ নেই...
0 comments
Be the first to comment!
This post is waiting for your feedback.
Share your thoughts and join the conversation.