
Bangla galpo
"তখন আমার আস্তানা জঙ্গলের ভিতর নদীর ধারের বাংলো l এক সন্ধ্যাবেলা বারান্দায় বসে আছি l সামনে কুয়াশার চাদরে মোরা অমাবস্যার জঙ্গল l কানে আসছে নদীর জলের আওয়াজ ..."
নির্ভয়া মামলার নিস্পত্তি সাত বছর পরে হলো l আজ যে জীবন্ত নির্ভয়ারা দিন যাপন করছে তারা আসল কিশোরী নির্ভয়া নয় ,জীবন রহস্য এক রহস্যl এরা তো ,সমাজের কোন পরে থাকা কোনো কোনঠাসা প্রাণ l শিক্ষার আড়ালের মুখোশ খোলে এই জঙ্গলের মধ্যে নির্জন বাংলো বাড়িতে l
না !আজ চুপ থাকার দিন নয় ভদ্রতার মার্জনের শিক্ষা আজ মূল্যহীন l
আজও নারী নিপীড়িত ll
শ্রেয়া বোস ,বয়স আটত্রিশ হবে একজন নার্স ,বয়েস এ নার্সিং ট্রেনিং নেওয়ার জন্য প্রাইভেট নার্সিং হোম গুলো তে শিফটিং ডিউটিতে তে কাজ করেন l পাঁচ বছর হলো কাজ করছেন সব জায়গাতেই কেমন যেন সন্দেহের চোখ এ সবাই দেখতো উল্টোপাল্টা টোন কাটতো l তিনি সেটা বুঝলেও বিশেষ পাত্তা দিতো না l সব জাগাতেই বিভিন্ন রকম পার্সোনাল কথার প্রশ্ন ,বর কে নিয়ে প্রশ্ন l
এমন অস্সস্তির মধ্যে তিনি দু তিন জাগা তে কাজ ও করে পাল্টেও ফেলেছেন l এমনকি বাড়িতে মেয়ের টিউশন টিচার তন্ময় রায় এর উল্টোপাল্টা প্রস্তাব ,এসব তিনি উপেক্ষা করে নিজের মতো করে সংসার করছিলেন l
আর এর মধ্যেও স্বামীর সাথে অশান্তি অযথা লেগেই থাকতো l সে সব অশান্তি বোঝাই যেত কারুর প্ররোচনাতেই হচ্ছে l
সব গুলো ঘটনা এককরলে কি দাঁড়ায় ?
এসবের পিছনে কোনো একটা সন্দেহ কাজ করছে l তবে শ্রেয়া বোসের মুখে শুনেছি ওনার বর ওনাকে বলেছিলেন l জোতিষী বলেছে ,কোনো নেশা যেন তোমাকে খেয়ে না ফলে ,তোমার বৌএর মন থাকবে বাইরে l
ইতোমধ্যে শ্রেয়া বোসের শাশুড়িও তার জন্ম তারিখ নিয়ে জোতিষ বিচার করেছেন l
এক সর্বদা বিচার এর মধ্যে তার দিন কাটতো l মুখে সরাসরি কোনো ঝগড়া নেই শুধু মেজাজ,সন্দেহের বসে কাজ ও কথা l যেন তিনি কোনো অপরাধী
" বাধ্যতের নিষ্পেষণ"
কে জানে সে ইতিহাস l আজ বিশ্ব কোবিদ ১৯ এ আক্রান্ত কিন্তু সংসারে মানুষের মনের দুর্বলতার আশ্রয়ে সৃষ্ট যে সাংঘাতিক ভাইরাস সেদিন শ্রেয়া বোসকে আক্রান্ত করেছিল তা এক কোবিদ১৯ l
সেদিন শ্রেয়া বোস নুতন এক প্রাইভেট নার্সিং হোম নতুন সার্ভিসে জয়েন করেছিলl প্রথমদিন সিভি জমা ,পরেরদিন কাজ বুঝে নেওয়া ,পর পর কাজে দিন যাচ্ছিলো কিন্তু সেই সঙ্গী সাথীদের আড়চোখে দৃষ্টি ,কথার টোন (কি রে ঘুরতে নাকি এখানে? )(একটু ঘুরে টুরে মজা করে আয় )এইসব l
এইসবের মধ্যেই নার্সিংহোমে সুপার শ্রেয়া বোসকে ডেকে পাঠালেন অনেকখন কথাও হলো l এরপর প্রায়ই বিভিন্ন কাজে তাকেই ডাকতেন পরিবারের কথা জিজ্ঞাসা করতেন l হোয়াটস আপ ফোন বিভিন্ন আন্তরিক কথা মধ্যে ঢুকতে লাগলেন ও সাথে ওনার চাকরির উন্নতির কোথাও বলতে লাগলেন l সত্যি বলতে কি যে মানসিক চাপা সন্তোলনে ওনার দিন কাটতো সেখানে এই রকম একজন উর্ধতন ব্যক্তির সান্নিধ্য তাকে আশার এল দিতে লাগলো ,তিনি ডক্টর রোহিত গাঙ্গুলি এবং ধীরে ধীরে তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে শ্রেয়া বোসের মন ও বিশ্বাস জয় করতে লাগলেন l শ্রেয়া বোসের কিছুটা আশ্চর্য লাগলেও বসের কোনো কথা উপেক্ষা করেও তা দেখানোটা অধরাই থাকতো l মনের কোন জমে থাকা দাম্পত্য শান্তির ছোয়াটুকু অজানা থেকে যখন এক মহিলার জীবনে জানার পরিচিতি ঘটায় তখন সে তো তার এই জীবনের সে শান্তির কিছুটাও রসাস্বাদন পাওয়া স্বাভাবিক ,যখন সেটা সম্পূর্ণ বিস্বাসে বদলাতে ডক্টর গাঙ্গুলি পেরেছেন l
0 comments
Be the first to comment!
This post is waiting for your feedback.
Share your thoughts and join the conversation.