"ভাই পায়খানা করা যাবে? খুব বেশি এসেছে"।
ভদ্রলোকের অবস্থা খুব সুবিধের না যেকোনো সময় ছেড়াই দিতে পারেন।তাও ভদ্রলোক দিব্যি হাসি হাসি মুখে বসে আছেন।তাকে জিজ্ঞেশ করলাম," ভাই জীবনের অন্যতম সংকট মুহুর্তে আপনি এত রিল্যাক্স কেমনে?"
তিনি হাসলেন আর বললেন, "ভাই বিশ্বের ৫০ টা দেশে, ১০০ টার বেশি পাহাড়ের চুড়াই, ৩ টা সমুদ্রে, ১০০ টার বেশি ঝর্ণায় পায়খানা করার রেকর্ড আছে আমার। বলতে পারেন পায়খানা করাটা আমার শখ।"
দাদা দেখি কঠিন লেভেলের ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার।
ঠিক করলাম এই বান্দরবান ট্যুর ওনার সাথেই কাটাবো।
এখন আমরা নাফাকুমে আছি আর আমি বাশঝাড়ের পাশে অপেক্ষা করছি কখন তার পায়খানা শেষ হবে।ওই যে তিনি আসছেন। একি! ওনার চোখে পানি কেন?
জিজ্ঞেস করতেই বললেন,"আমাদের জীবন চক্রের কথা চিন্তা করছিলাম। ভাই ওই যে তাকিয়ে দেখেন আমার লাদা (তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে পায়খানার ছোট অংশকে লাদা বলে)।
"এই ছোট একটি লাদা আজকে নাফাকুমের পানিতে ছেড়ে দিলাম ভাসতে ভাসতে এটি দেবতাখুম,সাতভাইকুম,আমিয়াকুম ফেলে মাতামুহুরি হয়ে সবশেষে বঙ্গোপসাগরে মিশবে আর দিন শেষে বঙ্গোপসাগর হতে লবণ নিয়ে আমরা তরকারি রান্না করে খেয়ে আবার পায়খানা করি।দেখেছেন আমাদের জীবনচক্র কিভাবে লিখেছেন প্রভু?"
হটাত পানিতে একটি পায়খানা যেতেই তাকে দেখিয়ে বললাম ভাই আপনার পায়খানা দেখেন।
তিনি মাথা নেড়ে বললেন না ভাই এটা আমার না।আমার লাদা আমি ভালো করেই চিনি।আর এটা কোনো মহিলা মানুষের পায়খানা। কেমনে বুঝেছি?দেখেন এত প্যাচানো পায়খানা কোনো পুরুষ মানুষের থেকে বের হবেই না কারণ মহিলাদের ব্রেইনে এত প্যাচ সুতরাং পায়খানায় ও প্যাচ থাকবে।
পায়খানা নিয়ে ভদ্রলোক এর জ্ঞান দেখে অবাক হলাম।
ভাই কে রয়্যাল স্যালুট জানাই। দেশ আসলে ট্যালেন্টের মুল্য দিতে পারে না।
নাফাকুম থেকে বাসাই ফিরে যাচ্ছি। ভদ্রলোক অন্য গাড়িতে উঠেছেন তার নাকি যাওয়ার পথে আলিকদমের দিকে একটু পায়খানা করার ইচ্ছা আছে।
তার গাড়িটা দেখলাম চলে যাচ্ছে তার গন্তব্যে। ঠিক তার পায়খানার মত আকা বাকা ভাবে। আস্তে চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। চলে গেল সে....
বিঃদ্রঃ এই পোস্ট দেখে আমাকে খান্ডাশ মনে করবেন না আবার🙂
0 件のコメント
この投稿にコメントしよう!
この投稿にはまだコメントがありません。
ぜひあなたの声を聞かせてください。